করোনায় স্তব্ধ ইউরোপ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২০, ১৬:৩৩
গত মঙ্গলবার প্যারিসে লকডাউন জারি করার পর প্যারিসের ব্যস্ত রাজপথ জনশূন্য হয়ে পড়েছে। কেনাকাটা, ডাক্তারের কাছে বা কাজে যাওয়া ছাড়া বাসার বাইরে যাবার নিয়ম নেই৷ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলায় প্যারিসের মেয়র অবশ্য আরও কড়া পদক্ষেপের ডাক দিয়েছেন।
এদিকে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রোববার জার্মানিতে আরো কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন। প্রকাশ্যে দুই জনের বেশি একসঙ্গে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। নয় দফার এই পদক্ষেপের আওতায় মানুষের মধ্যে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রেস্তোরাঁ, সেলুন ইত্যাদি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে রোববার ম্যার্কেল নিজে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বিদেশিরা অনাকাঙ্ক্ষিত, সীমান্ত বন্ধ
দেশের মধ্যে মানুষের চলাচলের উপর কড়া নিয়ম চালু করার পাশাপাশি জার্মানি দেশে বিদেশিদের প্রবেশ কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে। সে কারণে দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দর ফ্রাংকফুর্টে কার্যকলাপ অনেক কমে গেছে।
আরো পড়ুন: ‘করোনা ছড়াতে’ টিকিট মেশিন চেটে গ্রেপ্তার যুবক
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: কেন দু’মিটার দূরে থাকতে হবে
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: ইতালির পাশে রাশিয়া
আরো পড়ুন: করোনায় গৃহবন্দি ৮ কোটি মানুষ ৬ মাস ফ্রি চাল পাবেন
আরো পড়ুন: হংকংয়ে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ
বাভেরিয়ার মানুষ গৃহবন্দি
করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে জার্মানির দক্ষিণে বাভেরিয়া রাজ্যে গত সপ্তাহে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত পদক্ষেপের আওতায় মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ। রেস্তোরাঁসহ অনেক দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ব্রিটেনে সামাজিক দূরত্বের আবেদন
করোনাভাইরাসের হুমকি রুখতে ব্রিটেন সব বার, পাব ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সব নাগরিকের উদ্দেশ্যে অতি প্রয়োজনীয় নয়, এমন ভ্রমণ বন্ধ রাখার আবেদন করেছেন। সেইসঙ্গে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মানুষে-মানুষে সরাসরি যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে বলেছেন জনসন।
আরো পড়ুন: সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আইসোলেশনে থাকা দুজন
আরো পড়ুন: হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের ফল পাঠানো হচ্ছে
আরো পড়ুন: লকডাউন না মানলে কড়া ব্যবস্থা
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিভ্রান্তিকর তথ্য যেভাবে ছড়ায়
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: মহাসংকটে পোশাক খাত
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে কোন দেশ কী করছে
মহামারির কেন্দ্রস্থল মিলান
সাম্প্রতিক কালে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীন থেকে ইটালিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। সে দেশে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের সংখ্যা মারাত্মক হারে বেড়ে গেছে। ১০ই মার্চ ইটালিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
ভ্যাটিকানের দরজা বন্ধ
ইটালির উত্তরে লম্বার্ডি অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ার পর দেশের বাকি অংশেও জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেছে। রোম ও ভ্যাটিকান সিটিতে মানুষের সমাবেশের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। সেন্ট পিটার্স চত্বরের মতো পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এলাকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
স্পেনের অবস্থা গুরুতর
রোববার স্পেনের সরকার দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আগামী ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে ১৪ই মার্চ থেকে প্রায় এক মাস পর্যন্ত স্পেনের জনজীবন স্তব্ধ থাকবে। ইউরোপে ইটালির পর স্পেনেই করোনাভাইরাস সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে বার্সেলোনা ও মাদ্রিদ শহরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে যা কিছু সাবধানে ধরবেন
আরো পড়ুন: কোয়ারেন্টাইন উপভোগ করবেন যেভাবে
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: নিজ সিদ্ধান্তে ওষুধ খেয়ে মৃত্যু
আরো পড়ুন: আইসোলেশন কোয়ারেন্টাইন কী, কখন দরকার?
আরো পড়ুন: সংক্রামক রোগের তালিকায় কোভিড ১৯
আরো পড়ুন: হাতে ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ সিল দেখলেই গ্রেপ্তার
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস ঠেকাতে লকডাউনই যথেষ্ট নয়: ডব্লিউএইচও
আরো পড়ুন: করোনাভাইরাস: ফোন নিরাপদ করার উপায়
আরো পড়ুন: নিউমার্কেটসহ ডিএসসিসির সব মার্কেট বন্ধ
অস্ট্রিয়ায় সংক্রমণের হার কমছে
সপ্তাহান্তে অস্ট্রিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। তবে এর আগে ৪০ শতাংশ সংক্রমণের হারের তুলনায় তা অনেক কম। সরকার দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ নেবার ফলে সুফল দেখা যাচ্ছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণের হার আরো কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে
